MY childhood
ছোটবেলায় বাংলা সিনেমার পাগল ছিলাম।
সিনেমা বলতে শুক্রবার বিটিভিতে।সারা সপ্তাহ
অপেক্ষা করতাম কখন শুক্রবার আসবে।বৃহস্পতিবার
রাতেই টিভিতে ঘোষনা দিত শুক্রবার
বিকালে কি সিনেমা দিবে।সেটা প্রায় সময় মিস হয়ে যেত।
শুক্রবার সিনেমা দেখতেই হবে,আবার ক্রিকেটও খেলতেই
হবে।তাই সেদিন খেলা শুরু করতাম সকালে।সেখানে আবার
বিপত্তি।কারন আমার বড় আপু আবার
সকালে আমাকে পড়াতে বসাবেন।আমি কি আর মানি?
পড়তে বসতাম ঠিকই,কিন্তু আপু এদিক ওদিক গেলেই
পলায়ন।ডাইরেক্ট মাঠে।
যখন ফিরতাম তখন জুমআর নামাজেন সময় হয়ে যেত তাই
মারার সময় পেতনা।
নামাজ পড়ে এসে কোনমতে ভাত
খেয়ে টিভিটা খুলে বসতাম।কোরআন তেলোয়াত,ত্রিপিটক
পাঠ সব দেখতাম।যখনই উপস্থাপক এসে ঘোষনা দিত
“এখন দেখবেন পূর্ণদৈঘ্য
বাংলা সিনেমা…………….”শ্রেষ্টাংশে……..না য়ক
রুবেলে নাম শুনলে আর কথা নাই।সবাই মিলে দিতাম
চিল্লানি।এখন বাংলাদেশ জিতলেই কেবল এমন চিল্লাই ৷
মাঝে মাঝে এসব সিনেমার বাইরে মাঝে অন্যধরনের
ছবি দিত। যেগুলার মূল্য এখন বুঝি তখন সেসব
সিনেমা দিলে খুব বিরক্ত হতাম।কোন মারামারি নাই।
টিভি কতৃপক্ষের বিবেক দেখে অবাক
হতাম,কি যে ছবি ছাড়ে?সেসময় আমার প্রিয় নায়ক ছিল
নায়ক রুবেল, শত্রু অভিনেতা ছিল রাইসুল ইসলাম আসাদ।
দুখাই নামের একটা সিনেমা মাঝে মাঝে শুক্রবারে দিত।
সেদিন আমার শুক্রবারটাই মাটি হত।খালি কান্দে।
এবার আসি আমার প্রিয় নায়ক রুবেল প্রসঙ্গে।কেডস আর
জিনস পড়ে খালি মারামারি করত।কি সে মারামারি।
একটা একটা মাইর দিত আর
আমরা ছেলে পেলেরা তালি দিতাম।তখন নায়ক জসিমও
বেশ মারামারি করত।আমার চাচাতো ভাইয়েরা প্রায়
আলোচনা করতাম রুবেলের শক্তি বেশী না জসিমের
শক্তি বেশী।কতদিন আমরা নিজেরা নিজেরাই রুবেল আর
জসিমের মারামারি খেলতাম।আমার চাচাতো ভাই জসিম
আমি রুবেল।কিন্তু আমি শক্তিতে পারতাম না।তাই
সেখানে রুবেল হেরে যেত।
আমরা যেখানে মারামারি নিয়ে ব্যাস্ত সেখানে আমার
আপুরা শাবানার কান্না কাটি নিযে ব্যাস্ত।"মরনের পরে"
নামক একটা সিনেমা ছিল যেটা দেখে আমার ছোট আপু খুব
কান্না করছিল।আমার আবার কান্না আসত না।রুবেলের
ঢিসুম ঢিসুমই মজা লাগত।সিনেমা দেখার পরবর্তী ১
ঘন্টা নিজে নিজে ঢিসুম ঢিসুম করতাম।দৌড়াতাম, উচু
জায়গা থেকে লাফ দিতাম।নিজেকে নায়ক নায়ক মনে হত।
তবে সে সময় একটা বিষয় হেভি রহস্য লাগত আনোয়ার
হোসেন সাহেব প্রতি সিনেমার প্রথমে কেন মারা যেত?
ইলয়াস কাঞ্চনের সিনেমাও খুব পছন্দ করতাম।সাপের
ছবি দেখে ভাবতাম ইস যদি আমি সাপ হতে পারতাম,
কি মজাটানা হত।কিছুক্ষন মানুষ,কিছুক্ষন সাপ।আমার
একবন্ধুকে খুব অপছন্দ করতাম।তারে কামড় দেয়ার অনেক
ইচ্ছা ছিল।
সিনেমা দেখলেতো হবে না।পরদিন স্কুলে গিয়ে বন্ধুদের
আলোচনা করতে হবে না।সে এক কঠিন আলোচনা।
আমরা এক একটা চলচ্চিত্রের সমালোচক।যেসব সিনেমায়
গান বেশী দিত,প্রেমের দৃশ্য বেশী থাকতো সেসব সিনেমার
নায়কদের তীব্র সমালোচনা করতাম।
মারামারি পারে না আবার নায়ক হতে আসছে।কত বড়
বেআক্কেল।ওয়াসিম নামের এক নায়ক ছিল সে একদম
মারামারি পারত না।তার সিনেমা দেখলেই মেজাজ খারাপ
হয়ে যেত।
আজও শুক্রবার আসে।কিন্তু সে শুক্রবারের সাথে আজকের
শুক্রবারের দূরত্ব অনেক।আমরা ফেসবুকে ব্যাস্ত,সময়
পেলে বাংলা সিনেমার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করি।কিন্তু
আমার ছোটবেলার মহা আনন্দের বাংলা সিনেমার
সাথে কি ফেসবুকের মজার কোন তুলনা হয়???
সিনেমা বলতে শুক্রবার বিটিভিতে।সারা সপ্তাহ
অপেক্ষা করতাম কখন শুক্রবার আসবে।বৃহস্পতিবার
রাতেই টিভিতে ঘোষনা দিত শুক্রবার
বিকালে কি সিনেমা দিবে।সেটা প্রায় সময় মিস হয়ে যেত।
শুক্রবার সিনেমা দেখতেই হবে,আবার ক্রিকেটও খেলতেই
হবে।তাই সেদিন খেলা শুরু করতাম সকালে।সেখানে আবার
বিপত্তি।কারন আমার বড় আপু আবার
সকালে আমাকে পড়াতে বসাবেন।আমি কি আর মানি?
পড়তে বসতাম ঠিকই,কিন্তু আপু এদিক ওদিক গেলেই
পলায়ন।ডাইরেক্ট মাঠে।
যখন ফিরতাম তখন জুমআর নামাজেন সময় হয়ে যেত তাই
মারার সময় পেতনা।
নামাজ পড়ে এসে কোনমতে ভাত
খেয়ে টিভিটা খুলে বসতাম।কোরআন তেলোয়াত,ত্রিপিটক
পাঠ সব দেখতাম।যখনই উপস্থাপক এসে ঘোষনা দিত
“এখন দেখবেন পূর্ণদৈঘ্য
বাংলা সিনেমা…………….”শ্রেষ্টাংশে……..না
রুবেলে নাম শুনলে আর কথা নাই।সবাই মিলে দিতাম
চিল্লানি।এখন বাংলাদেশ জিতলেই কেবল এমন চিল্লাই ৷
মাঝে মাঝে এসব সিনেমার বাইরে মাঝে অন্যধরনের
ছবি দিত। যেগুলার মূল্য এখন বুঝি তখন সেসব
সিনেমা দিলে খুব বিরক্ত হতাম।কোন মারামারি নাই।
টিভি কতৃপক্ষের বিবেক দেখে অবাক
হতাম,কি যে ছবি ছাড়ে?সেসময় আমার প্রিয় নায়ক ছিল
নায়ক রুবেল, শত্রু অভিনেতা ছিল রাইসুল ইসলাম আসাদ।
দুখাই নামের একটা সিনেমা মাঝে মাঝে শুক্রবারে দিত।
সেদিন আমার শুক্রবারটাই মাটি হত।খালি কান্দে।
এবার আসি আমার প্রিয় নায়ক রুবেল প্রসঙ্গে।কেডস আর
জিনস পড়ে খালি মারামারি করত।কি সে মারামারি।
একটা একটা মাইর দিত আর
আমরা ছেলে পেলেরা তালি দিতাম।তখন নায়ক জসিমও
বেশ মারামারি করত।আমার চাচাতো ভাইয়েরা প্রায়
আলোচনা করতাম রুবেলের শক্তি বেশী না জসিমের
শক্তি বেশী।কতদিন আমরা নিজেরা নিজেরাই রুবেল আর
জসিমের মারামারি খেলতাম।আমার চাচাতো ভাই জসিম
আমি রুবেল।কিন্তু আমি শক্তিতে পারতাম না।তাই
সেখানে রুবেল হেরে যেত।
আমরা যেখানে মারামারি নিয়ে ব্যাস্ত সেখানে আমার
আপুরা শাবানার কান্না কাটি নিযে ব্যাস্ত।"মরনের পরে"
নামক একটা সিনেমা ছিল যেটা দেখে আমার ছোট আপু খুব
কান্না করছিল।আমার আবার কান্না আসত না।রুবেলের
ঢিসুম ঢিসুমই মজা লাগত।সিনেমা দেখার পরবর্তী ১
ঘন্টা নিজে নিজে ঢিসুম ঢিসুম করতাম।দৌড়াতাম, উচু
জায়গা থেকে লাফ দিতাম।নিজেকে নায়ক নায়ক মনে হত।
তবে সে সময় একটা বিষয় হেভি রহস্য লাগত আনোয়ার
হোসেন সাহেব প্রতি সিনেমার প্রথমে কেন মারা যেত?
ইলয়াস কাঞ্চনের সিনেমাও খুব পছন্দ করতাম।সাপের
ছবি দেখে ভাবতাম ইস যদি আমি সাপ হতে পারতাম,
কি মজাটানা হত।কিছুক্ষন মানুষ,কিছুক্ষন সাপ।আমার
একবন্ধুকে খুব অপছন্দ করতাম।তারে কামড় দেয়ার অনেক
ইচ্ছা ছিল।
সিনেমা দেখলেতো হবে না।পরদিন স্কুলে গিয়ে বন্ধুদের
আলোচনা করতে হবে না।সে এক কঠিন আলোচনা।
আমরা এক একটা চলচ্চিত্রের সমালোচক।যেসব সিনেমায়
গান বেশী দিত,প্রেমের দৃশ্য বেশী থাকতো সেসব সিনেমার
নায়কদের তীব্র সমালোচনা করতাম।
মারামারি পারে না আবার নায়ক হতে আসছে।কত বড়
বেআক্কেল।ওয়াসিম নামের এক নায়ক ছিল সে একদম
মারামারি পারত না।তার সিনেমা দেখলেই মেজাজ খারাপ
হয়ে যেত।
আজও শুক্রবার আসে।কিন্তু সে শুক্রবারের সাথে আজকের
শুক্রবারের দূরত্ব অনেক।আমরা ফেসবুকে ব্যাস্ত,সময়
পেলে বাংলা সিনেমার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করি।কিন্তু
আমার ছোটবেলার মহা আনন্দের বাংলা সিনেমার
সাথে কি ফেসবুকের মজার কোন তুলনা হয়???
No comments:
Post a Comment
Thanks for comment